ধর্ম ডেস্ক: কেউ যদি মাথা নেড়ে ইশারায় নামাজ আদায় করতেও অক্ষম হয়ে যায় এবং এ অবস্থা একদিন ও এক রাতের বেশি দীর্ঘ হয়, তাহলে তার ওপর ওই সময়ে আর নামায ফরজ থাকে না। তাই ওই সময়ের নামাজের ফিদয়া দিতে হয় না।
কারো ওপর যদি কাজা নামাজ ওয়াজিব থাকে, অর্থাৎ সে ইশারায় হলেও নামাজ আদায়ে সক্ষম ছিল কিন্তু নামাজ পড়েনি, এরপর নামাজ আদায়ে পুরোপুরি অক্ষম হয়ে যায়, ভবিষ্যতে ওই কাজা নামাজগুলো আদায় করতে পারবে সেরকম সম্ভাবনা না থাকে বা মারা যায়, তাহলে ওই নামাজগুলোর বদলে ফিদয়া দেওয়া যায়।
একজন মানুষ যতক্ষণ ইশারায় নামাজ আদায় করতে পারে, ততক্ষণ সে নামাজ আদায়ে সক্ষম বিবেচিত হয়। মাথার ইশারায়ও নামাজ আদায় করতে পারলে তার কর্তব্য নামাজ আদায় করার চেষ্টা করা, আগের নামাজগুলোও কাজা করার চেষ্টা করা। ইশারায় নামাজ আদায় করার সক্ষমতা থাকা অবস্থায় ওই সময়ের নামাজ বা আগের কাজা নামাজের জন্য ফিদয়া আদায় করা যাবে না। তবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্তান বা উত্তরাধিকারীদের অসিয়ত করে যাওয়া যায় যে এত ওয়াক্ত নামাজ তার কাজা হয়েছে, কাজা আদায় করার আগে মারা গেলে তারা যেন এই নামাজগুলোর ফিদয়া আদায় করে দেয়।
নামাজের ফিদয়া দেওয়ার নিয়ম হলো প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ ও বিতরের নামাজসহ ছয় ওয়াক্ত নামাজের প্রতিটির জন্য পৌনে দুই সের গম অথবা এর বাজারমূল্য দান করা অথবা প্রতি ওয়াক্তের বদলে একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দুই বেলা পেটপুরে খাবার খাওয়ানো। (হেদায়া ১/২২২)